দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শিমর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর করে হাজিরা দেখার অভিযোগ উঠেছে, অপরদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় সহকারী শিক্ষক জুনিয়র এইচএসসি(কৃষি ডিপ্লোমা) মোঃ রফিকুল ইসলাম (R546797) এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও রয়েছে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
শিমর উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পদে দুই প্রধান শিক্ষক, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রবিবার (২৩শ জানুয়ারি) নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ।
স্কুলের অভিভাবক মোঃ মোজাম্মেল হক, হারুন রশিদ,হেলাল উদ্দিন, আশরাফুল, হাসানুর রহমানের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা শিমর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো রফিকুল ইসলাম(R545278) বিদ্যালয়ে প্রায় অনুপস্থিত থাকেন। মাসে ৩/৪ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক হাজিরা বহিতে জালিয়াতির মাধ্যমে অনুপস্থিত থেকেও স্বাক্ষর করে হাজিরা দেখান যা চরম বেআইনী। তিনি সুস্থ সবল সরিলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় কিভাবে তার আপন শ্যালক সহকারী শিক্ষক জুনিয়র এইচএসসি(কৃষি ডিপ্লোমা) মোঃ রফিকুল ইসলাম (R546797)বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। যার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। একই বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার আইনের চরম লঙ্ঘন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, ছাত্র ছাত্রীদের প্রত্যয়ন, প্রশংসা পত্রে সীল স্বাক্ষর প্রদান করে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ঘোষিত প্রধান শিক্ষক মো রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বিদ্যালয় সংলগ্ন ৬০ শতাংশ পুকুর লিজের =৭২০০০/ (বাহাত্তর হাজার) টাকা শিমর উচ্চ বিদ্যালয় নামে সোনালী ব্যাংক রানীগঞ্জ শাখায় জমা না করিয়া তারা দুইজন নিজেদের কাছে রেখে আত্নসাৎ করার পায়তারা করছেন বলে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা জানান, উল্লেখিত বিষয়গুলো আমরা সরেজমিনে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক,কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ,এলাকার সচেতন বিশিষ্ট নাগরিকগণের উপস্থিতিতে গণশুনানীর মাধ্যমে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে শিমর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান, শিমর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকদের থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।